বছর খানেক আগে থেকেই আমার আর বন্ধু মানিকের প্ল্যান কাশ্মির লাদাক সিমলা মানালী ট্যুরের! নানান সময়ে নানান প্ল্যান করেও ব্যাটে বলে হল না। ফাইনালী ব্যাটে বলে হলেও নো বলে মাইক রান আউট হয়ে ট্যুর থেকে বার হয়ে যায় আর আমি নো বল থেকে পাওয়া এক্সট্রা বলে সিক্স মেরে ট্যুর শুরু করি অন্য তিন ট্যুরমেটকে নিয়ে। শুরুতে আমাদের প্ল্যান ছিলো কলকাতা, কাশ্মির, মানালী আর সিমলা, বেশ লম্বা ট্যুর প্ল্যান! প্রায় ১৪ দিনের। কিন্তু অফিসিয়াল কিছু ঝামেলার কারনে আমার পক্ষে এতোদিনের পসিবল না দেখে আমি তা ৯ দিনে পরিনত করি মানে এপ্রিল ৯ – ১৭। এর মাঝে এপ্রিল ৯ চিটাগাং থেকে কলকাতায় যাওয়া আর ১৭ তারিখ কলকাতা থেকে চিটাগাং ব্যাক করা। ব্যাসিক্যালি মেইন ট্যুর ১০ – ১৬ আমার জন্য। অনেকে জানতে চেয়েছেন কাশ্মির ট্যুরের ব্যাপারে, আশা করি এই লিখা থেকে হয়তো কিছু মানুষ উপকৃত হবে। ট্যুরের টিকেট অনেক আগে করাতে আমরা অনেক কম দামে টিকেট পেয়েছিলাম, কলকাতা – শ্রীনগর- কলকাতা বাংলা টাকায় খরচ পড়েছিলো প্রায় ১৬ হাজার টাকা যা খুবই সস্তা আর এমন সস্তাতে টিকেট করতে পারার অন্যতম ক্রেডিট আমাদের ট্যুরমেন্ট লিমনের। আমি চিটাগাং থেকে রিজেন্টে চিটাগাং কলকাতা আপ ডাউনের টিকেট করেছিলাম, দুইটা মিলে মোট প্রায় ১২ হাজার পড়েছিলো মিনিমাম রেট পাই নাই লেট করে টিকেট করার কারনে। তবে কলকাতা – চন্ডিগর – শ্রীনগর – চন্ডিগর- কলকাতার টিকেট আগে করার কারনে অনেক সস্তা পেয়েছিলাম। আমি ৯ তারিখে দুপুরেই কলকাতা এয়ারপোর্টে পৌছে গিয়েছিলাম আর এদিকে আমার বাকি ট্যুরমেটরা রাতের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে আসবে কলকাতা, আর আমাদের শ্রীনগরের ফ্লাইট পরের দিন ভোর ৪ঃ২৫ হওয়াতে আমি কলকাতা এয়ারপোর্টের ভেতরেই রেস্ট হাউজ টাইপ ওখানে ডরমিটরিতে একটা বেট রেন্ট নিয়েছিলাম। ভাড়া পড়েছিলো ৭০০ রুপি। বেশ উপকারী একটা ব্যাপার, সিংগেল রুম, ডাবল রুমের ব্যাবস্থাও আছে। সিংগেল রুমঃ ১০০০ রুপি, ডাবল রুমঃ ১৫০০ রুপি। কলকাতা থেকে শ্রীনগরের ফ্লাইট ছিলো ১০ তারিখ (৯ তারিখে রাত ১২ টার পরে যে ভোর -_- ) ভোর ৪ঃ৩৫ মিনিটে ইন্ডিগো এয়ারে। চন্ডীগর ভায়া হলে শ্রীনগরে গিয়েছিলো, চন্ডিগরে প্রায় ৩০ মিনিটের একটা ব্রেক ছিলো। শ্রীনগরে পৌছালাম সকাল ৯ টার দিকে। আমাদের একজন গাইড কাম ড্রাইভার আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো ওয়াসিম নামের, প্রচন্ড স্মার্ট একজন কাশ্মিরী। বেশ কোয়ালিফাইড স্মাইলিং ফেসের একজন মানুষ। উনি ঠিক ঠাকমত এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলো, আমাদের রিসিভ করেই রওনা দিলো শহরের দিকে। আমাদের প্ল্যান মতে প্রথম দিন ছিলো ডাললেকের বোট হাউজে রাত কাটানো। কিন্তু আমরা প্ল্যান চেঞ্জ করে চলে গেলাম গুলমার্গে। যাওয়ার পথে হাইওয়ের পাশেই একটা ধাবাতে ব্রেকফাস্ট করেছিলাম পার হেড ১২০ রুপির মত পরেছিলো। গুলমার্গ বরফের চাদরে গেরা একটি গ্রাম। যদিও ওদের এখন সামার চলছে কিন্তু অনেকাংশই বরফে ঢাকা। গুলমার্গে একটা হোটেলে ছিলাম এক রাত, ভাড়া ছিলো ৪০০০ রুপি ব্রেকফাস্ট আর ডিনার সহ। ওয়াটার হিটার, রুম হিটার, বেড হিটার সবই ছিলো। হোটেলের নাম HILL VIEW. যদিও আমরা গুলমার্গে ছিলাম তবে আমি সাজেস্ট করবো গুলমার্গে না থেকে শ্রীনগরে ব্যাক করে হোটেলেই থাকা উচিত এতে সময় আর হোটেল খরচ দুইটাই বাচবে, কারন অপেক্ষাকৃত হোটেল খরচ বেশি গুলমার্গে। বিকেলের দিকে আমরা গিয়েছিলাম গন্ডালা মানে ক্যাবেল কারে করে গুলমার্কের মেইন পয়েন্টে যেখানে রয়েছে বরফের নানান ধরনের এক্টিভিটি, তবে বলে রাখা ভালো গুলমার্গে আসার আগেই ভাড়া করে নিয়েছিলাম বরফে নিজেকে বাচানোর জন্য জ্যাকেট, জুতো, গ্লাভস, মোজা। জ্যাকেট ভাড়াঃ ১০০ রুপি জুতোঃ ১০০ রুপি হাত মুজাঃ ২৫ রুপি দিয়ে কিনেছিলাম উলের পা মোজাঃ ১০০ রুপি দিয়ে কিনেছিলাম। গন্ডালা মানে ক্যাবেল কারে করে দুইটা ফেজে যাওয়া যায়, আমরা গিয়েছিলাম ফাস্ট ফেজে, যা ভুমি থেকে ১৪ হাজার ফিট উপরে আর সেকেন্ড ফেজ মনে হয় ২১ হাজার। ফাস্ট ফেজে যেতে খরচ ৭৪০ রুপি জন প্রতি। ক্যাবেল কার রাইডিং তেমন এক্সাইটেড না হলেও জায়গাটাতে গিয়ে ভালো লেগেছিলো, অনেকে স্কেটিং করছিলো, অনেকে আরো কি কি যেন করছিলো -_- সন্ধ্যা ৬ টার আগেই ওখান থেকে ব্যাক করতে হয়। ব্যাক করেই আমরা হোটেল রুমে চলে গিয়েছিলাম কারন রাতের বেলায় কিছুই করার নাই ওখানে! নো নাইট লাইফ -_- এর পরের দিন সকালে আমরা গুলমার্গ থেকে চলে গেলাম পেহেলগামের। পাহাড়ের পাশ ঘিরে ছোট একটি গ্রাম পেহেলগ্রাম, বেশ কষ্টেই তাদের দিন কাটে, পর্যটন ছাড়া তাদের কোন ইনকাম সোর্স নাই, গ্রামের মানুষদের অলমোস্ট প্রতিটি ঘরেই ঘোড়া পালে। টুকটাক ক্ষেতখামারী করে। আমি গ্রামে অনেকক্ষন হেটেছি, তাদের কষ্টের জীবন অনুভব করেছি। পেহেলগ্রামে আমরা দুই রাত ছিলাম, হোটেলের নাম ছিলো Hotel MUSKAN. পাহাড়ের উপরে অবস্থাতিত সাধারন মানের হোটেল। ভাড়া ছিলো প্রতিদিন ১৩০০ রুপি। হোটেলে কোন ব্রেকফাস্ট ছিলো না তবে অর্ডার করলে ওরা ম্যানেজ করে দেবে এমন। আমরা বাজারেই ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ ডিনার করেছিলাম যেহেতু সাথে গাড়ি ছিলো সবসময়। প্রথম দিনে আমরা গ্রামের আশে পাশেই ছিলাম, বাইরের কোথাও যাই নাই। সেকেন্ড ডে তে গিয়েছিলাম ঘোড়াতে করে Baisaran, যাওয়ার পথে পড়েছিলো Kasmir Valley and Dabyan. ব্যাসিকালি Baisaran বা মিনিসুইজারল্যান্ডই মূল আকর্ষন। বাকি দুটো জায়গা যাওয়ার পথে পড়ে, তবে ঘোড়া করে জার্নি আসলেই অনেক রিক্সি, কিন্তু তাও প্রচুর মানুষ যাচ্ছে, শুরুতে ভয় পাচ্ছে, আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এই ঘোড়া রাইডের খরচ পাতির ব্যাপার স্যাপার খুবই কনফিউজিং! ইনফ্যাক্ট কাশ্মিরের টুরিজমের পুরো ব্যাপারই কনফিউসিং! রেট এতো বেশি আপ ডাউন করে। প্রথমে আমাদের কাছে চাওয়া হল ২৭০০ রুপি পড়ে তা মুলা মুলি করে করে ফাইনালি ৮০০ রুপিতে দফারফা হয়েছে। ঘোড়া জার্নিটা যেমন রিমার্কেবেল ঠিক তেমন করে মিনিসুইজারল্যান্ডটাও অসাধারন যেমন দেখতে তেমন করে ছবি তুলতে। পেহেলগ্রামে দুইদিন থেকে আমরা রওনা দিলাম শ্রীনগরের দিকে, উদ্দ্যেশ্য ডাললেকের বোটে রাতে থাকা। পেহেলগ্রাম থেকে জার্নি টাইম ২ ঘন্টা হলেও আমাদের সেই দিন প্রায় ৫ ঘন্টা লেগেছিলো রোডে কাজের কারনে, মাঝে ব্রেকের কারনে আর রাস্তায় কাজের কারনে, শ্রীনগরে আমরা ডাল লেকের ঘাট ১৪ এর সামনে অনেক পুরানা হোটেলে Hotel Neheru তে ছিলাম, পুরাই অফ পিক সিজন, তাই রুম পেয়েছিলাম ১৭০০ রুপিতে ব্রেকফাস্ট ছাড়া। বেশ পুরানা হোটেল হলেও পুরানা ধাচের ভালো হোটেল ছিলো। যা বলছিলাম আমাদের টার্গেট ছিলো বোটে থাকা কিন্তু ৩-৪ টা বোট ভিজিট করে স্যাটিসফেক্টরী না পাওয়ার কারনে আমরা আর স্টে করি নাই, তবে অভিজ্ঞতার জন্য থাকা উচিত ছিলো। সেই দিন বিকেলের দিকে আমরা সিকারা রাইডে গিয়েছিলাম মানে নৌকা ভ্রমন। প্রথমে আমাদের কাছে চেয়েছিলো ১০০০ টাকা এর মত পরে তা ৩০০ রুপিতেই এগ্রি করে আমাদের ১ ঘন্টার মত ঘুরিয়েছিলো, অনেক দিন পরে ম্যানুয়াল ভিন্নটাইপের নৌকা ভ্রমন বেশ ভালো লেগেছিলো। এর পরের দিন বিকেলেও আমরা ২ ঘন্টা ঘুরেছিলাম ৬০০ রুপিতে। শ্রীনগরে সেকেন্ড ডে তে আমরা সকাল সকাল গিয়েছিলাম টিউলিপ গার্ডেনে, ডাল লেক থেকে খুব একটা দূরে না, বেশ কাছেই! এক অনন্য সৃষ্টি আর সোন্দর্য্য! কি যে ভালো লেগেছিলো এতো সুন্দর করে বানানো বাগান যার সময় ১ মাসের থেকেও কম! আমরা লাকি ছিলাম যে বেস্ট টাইমটাতেই আমরা টিউলিপ গার্ডেনে গিয়েছিলাম। এন্ট্রি ফি ৫৯ রুপি করে। টিউলিপে কেমন করে ৩ ঘন্টা চলে গেলো বুঝতেই পারি নাই, তার পর গেলাম আমরা মোগলদের বানানো রানী মহলে বেশ উচু পাহাড়া বানানো রানী মহল, সময় স্বল্পতা আর টায়ার্ডনেসের কারনে Mughal Empire দেখা হয় নাই। খানা পিনার ব্যাপার যখন যা পেয়েছি তাই খেয়েছি, ভালো খারাপ মিক্স রিয়েকশন ছিলো আমাদের। কাশ্মিরে এপ্রিল ১০- ১৫ তারিখ পর্যন্ত আমাদের ৪ জনের পার হেড খরচ পড়েছিলো প্রায় ১৬৫০০ টাকা। আমরা একটু বেহিসাবি ছিলাম তা না হলে সহজেই আরো ২০০০-৩০০০ টাকা বাচানো যেতো। আর এই ১৬৫০০ তে সব এক্টিভিটির খরচ ও ছিলো। কাশ্মির থেকে আমরা গিয়েছিলাম চন্ডিগরে, এক রাত থেকে আমি কলকাতা হয়ে বাংলাদেশ ব্যাক করেছি আর আমার বাকি ট্যুরমেটরা সিমলা মানালীতে বেড়াচ্ছে -_- জানি উপরের লিখাটা খুব একটা ঘোছানো না, তাই কিছু কি পয়েন্ট নিচে উল্লেখ করছি। – আমরা কাশ্মিরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা জীপ টাইপ গাড়ি ভাড়া করেছি যা আমাদের গাইড হিসাবে যেমন সার্ভিস দিয়েছিলো ঠিক তেমন করে প্রতিপদে আমাদের গাড়ির সাপোর্ট দিয়েছিলো। কাশ্মিরের প্রতিদিনের জন্য আমরা ২২০০ রুপি করে দিয়েছিলাম। – কাশ্মিরে মোবাইল নেট ওয়ার্কে ভালোই সমস্যাতে পড়েছিলাম, সিম কেনা পুরোই অসম্ভব ব্যাপারে, একমাত্র পোস্টপেইড সিমই কাজ করে ওখানে তাও লোকাল কারো নামে রেজিঃ করা সিম। আমাকে আমাদের গাড়ির ড্রাইভার একটা সিম ম্যানেজ করে দিয়েছিলো। – এক ডলার এর জন্য ৬৭-৭০ রুপি পেয়েছি। – খাওয়ার মান বেশ ভালো আর তুলনামুলক ভাবে সস্তা, আমরা অনেক স্ট্রিট ফুড ট্রাই করেছিলাম – কাশ্মিরের সাধারন মানুষ গুলো বেশ ভালো কিন্তু টুরিজমের সাথে জড়িতরা একটু ধান্দাবাজ টাইপের আর ইরিটেটিং। বার বার মানা করার পরেও পেছন ছাড়ে না। – পলিটিক্যাল আনরেস্টের কিছুই পাই নাই, আমাদের স্টের ভেতরে দুইদিন ইলেকশন পরে গিয়েছিলো তাই মোবাইলের নেট বন্ধ পেয়েছিলাম কিন্তু বাকি সব নরমাল ছিলো। ইলেশকনের দিন সাধারন পরিবহন বন্ধ থাকলেও ট্যুরিস্টদের গাড়ি এলাউড ছিলো। ৬ দিনের মাঝে মাত্র একবার আমাদের গাড়ি দাড় করানো হয়েছিলো তাও পাসপোর্ট দেখে সম্মানের সাথে সরি বলে ছেড়ে দিয়েছিলো। তবে রিসেন্ট যে টেরোরিস্ট এটাক হয়েছিলো তার কারনে কাশ্মিরের মোড়ে মোড়ে সেনা টহল অনেক বেশি আর একটিভ। তবে এটা ঠিক, কাশ্মির যাওয়া উচিত, বাচ্চাদের জন্য এক্কটু ডিফিকাল্ট লম্বা জার্নি গুলোর কারনে প্লাস ঠান্ডা টাইপ ব্যাপার স্যাপার আর এন্টারটেইনমেন্টের জিনিষ পাতিকম তাই বাচ্চারা খুব একটা এঞ্জয় করার কথা না।
গতবছরের অগাষ্টে (২০১৬) এ সুনামগঞ্জে ট্যুরের পর সুনামগঞ্জ এতোই ভালো লেগেছিলো তখনই ঠিক করেছিলাম আবার যাবো সুনামগঞ্জ! বলা যায় একটু দেরিই হয়ে গিয়েছিলও কিন্তু ফাইনালী প্রায় একবছর পরে আবার গেলাম আর সাথে সাথে বউ এর কাছে কথা শুনলাম কি মজা পাও নৌকাতে থেকে! আর আম্মু তো ভয়াবহ ভাবে বল্লো কি শুরু করলি এই বুড়া বয়সে এই সব!! 😑 লাইফে প্রথম মনে হয় আমাকে বুড়া বল্লো 😑 ওয়েল অনেক টেনশনেই ছিলাম যাবো কি যাবো না, কারন বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নানান ধরনের কথা শুনছিলাম, পানির লেভেল নাকি বেড়ে গেছে, আর বন্যা পরিস্থিতির কারনে নানান এলাকাতে মানুষ কষ্টে আছে, তাই আগে ভাগেই ভালো করে খবর নিলাম, না! সুনামগঞ্জে সমস্যা হয় নাই, আর যা শুনেছিলাম যে ঢলের পানির কারনে হাওড়ের পানি ঘোলা হয়ে গেছে অনেকটা ভুল প্রমানিত হয়েছে যাওয়ার পর দেখলাম! গতবারে আমাদের তিনজনের জন্যই প্রথম যাওয়া ছিলো, প্লাস সময় কিছুটা কম হাতে নিয়ে গিয়েছিলাম আর প্রথম দিন আমাদের নৌকার ইঞ্জিনে সমস্যার কারনে ওভার অল তাড়ায় ছিলাম, তাই এবার প্ল্যান ছিলো রিল্যাক্স ট্যুর দেবো পাক্কা পুরো দুইটা দিন রেখেছিলাম সুনামগঞ্জের জন্য :3 :3 আর রিল্যাক্সের প্রথম শর্ত পূরন করতে গিয়ে এবার নন এসিতে না গিয়ে শ্যামলির এসি বাসে গিয়েছিলাম। ** ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ শ্যামলি এসি ৮০০ টাকা পার হেড। আর নন এসি বাস ভাড়া ৫৫০ টাকা পার হেড। রাত ১০ঃ৪৫ এর বাস ঢাকা ছাড়তে ছাড়তেই হয়ে গেলো ১২ঃ৩০ টার মত 😑 প্লাস বৃষ্টির কারনে সুনামগঞ্জ পৌছাতে আমাদের ঘড়ির কাটা ছুলো ৮ টা! বেশ ভালোই লেট হয়েছে আগের বারের তুলনায়! আর যথারীতি গতবারের মত বাস থেকে নেমেই পেলাম বৃষ্টি 😑 মন খারাপ ভালো মিক্সড কারন সি এন জি ড্রাইভার বল্লো গত দুই দিন বৃষ্টি হচ্ছে 😞 মনের ভেতর ভয় প্লাস মন খারাপ হয়ে গেলো 😞 পুরাই ধরা খাবো 😑 ওয়েল সুনামগঞ্জে বাস থেকে নেমে সি এন জি রিজার্ভ নিলাম তাহিরপুর বাজার পর্যন্ত। নরমালি ভাড়া ৫০০ টাকা হলেও, মুলামুলি করে ৪৫০ এ গিয়েছিলাম :3 ** সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর সি এন জি রিজার্ভ ৪৫০ – ৫০০ টাকা তাহিরপুর পৌছিয়ে নাস্তা করে নিলাম বাজারে, দাম তেমন একটা বেশি না, পরোটা, ডাল, চা, পানি খেয়েছিলাম। ** নাস্তা পার হেড ৫০ টাকার মত নাস্তা পানি খেয়েই মিশন নৌকা ভাড়া করা। ওরা বেশ স্ট্রং সিন্ডিকেট! হিসেব কিতেব করেই নৌকা ঠিক করতে হবে, বেস্ট হয়ে হল সবাই না গিয়ে চালাক চতুর একজন আলাদা গিয়ে কথা বলে মুলা মুলি করা। আমাদের গতবারের মাঝিকে আমরা পেয়েছিলাম, কিন্তু ইচ্ছা করেই ওকে আমরা নেই নাই, তাই নতুন নৌকার খোজে ছিলাম, দুই ধরনের নৌকা পাওয়া যায়, যেহেতু আমরা মাত্র ৩ জন তাই আমরা বড় নৌকা নেওয়ার কোন মানেই হয় না, মাঝারি নৌকা দরদাম করে একজনকে ঠিক করলাম। নৌকার সময় যেই দিন গিয়েছি সেই দিন সকাল থেকে সারাদিন ঘোরা, রাতে থাকা, নৌকাতে রান্না বান্নার ব্যাবস্থা, প্লাস রান্না করে দেওয়া, রাতে নৌকাতেই থাকার ব্যাবস্থা করা, প্লাস সেকেন্ড ডে তে সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌকাতে ঘোরা, কিছু স্পট আমরা ঠিক করে দিয়েছিলাম মাঝি সেই হিসাবেই রুট প্ল্যান করেছিলো। ** দুই দিনের নৌকা ভাড়া ছিলো ৪০০০ টাকা, কাভার করবে হাওড়, ওয়াচ টাওয়ার, বারেকের টিলা, নীলাদ্রী, যাদুকাটা নদী, শিমুল তুলার বাগান। খাওয়া দাওয়া নিজেদের চয়েজ মত নিয়ে নেওয়া উচিত, বাজার ও তেমন করে করা উচিত। দুইবারের যাওয়ার এক্সপ্রেরিয়ান্স থেকে নিচের রুট ম্যাপটা সাজেস্ট করবো, আমার কাছে এটা বেস্ট মনে হয়েছে সুনামগঞ্জের জন্য। প্রথম তাহিরপুর বাজারে নাস্তা আর বাজার সদাই করে আনুমানিক নৌকাতে উঠতে উঠতে বাজবে ১১ঃ০০ এর মত, – প্রথমেই চলে যাওয়া উচিত শিমুলতলা, যাদু কাটা নদী হয়ে শিমুল তলা যেতে হবে, অসাধারন প্ল্যান করে বানানো বাগান আসলেই খুবই ভালো লাগবে, যদিও এখন শিমুলফুল নাই কিন্তু তারপর ও ভালো লাগবে, প্রতিটা গাছের মাঝে এতো নিখুত জ্যামেতিক গ্যাপ অসাধারন। -শিমুল বাগানে সময় কাটিয়ে দুপুরের গোসল করা যায় যাদুকাটা নদীর পাড়েই, কিন্তু তা অবশ্যই মাঝির সাজেশন মতে, কারন যাদুকাটা নদীর পাড়ে চোরা খাদ থাকে, তাই রিস্কি। – ওখানে গোসল দ্যান লাঞ্চ করে চলে যাওয়া উচিত ডাইরেক্ট নীলাদ্রিতে! যদিও বারিকের টিলা আর একটু সামনে গেলেই! বারিকের টিলাতে যাওয়া আমাদের কাছে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই মনে হয় নাই, জাস্ট সময় নষ্ট কিন্তু তারপর ও কেউ যেতে চাইলে যেতে পারেন, আমরা গিয়েছিলাম, আর সময় নষ্ট করেছিলাম আর এই কারনেই বিকেলের নীলাদ্রী দেওয়ার সুযোগ মিস করেছি, ওয়েল প্ল্যান মতে, যাদুকাটা নদীতে গোসল আর লাঞ্চ করেই ডাইরেক্ট চলে যাওয়া উচিত টেকেরঘাট! ওখানে নৌকা ভিড়াতে হবে কারন রাতের বেলা অনেক গুলো নৌকা ওখানেই থাকে, প্লাস পাশেই বি জি বি এর ক্যাম্প, ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস! সো সিকিউরিটির কোন সমস্যা নাই সো আমরা যদি সন্ধ্যা হওয়ার ঘন্টা খানেক আগেই টেকেরঘাট পৌছাতে পারি ওখানে তা হলে উপভোগ করতে পারবো নীলাদ্রী লেকের অসাধারন সৌন্দর্য্য! অনেকে একে বাংলাদেশের সুইজারল্যান্ড বলে :3 সুইজারল্যান্ড যাই নাই কিন্তু খুব একটা খারাপ ও না এক কথায় অসাধারন! ঠান্ডা পরিবেশ অসাধারন লাগবে নীলাদ্রী লেক আর তার আশেপাশের জায়গা! টেকেরঘাট থেকে হেটে গেলে ৫-১০ মিনিট। সন্ধ্যা নেমে এলে ওখানে বাজারে বা এদিক ওদিক হেটেও সময় কাটানো যায়, আর নিজেদের নৌকাও আছে। প্রথমদিনের ঘোরাঘুড়ি শেষ এখন সেকেন্ড ডে! হাওড়ে মাঝে নৌকাতে ঘুমানোর ফিলিংস কোন ভাবেই প্রকাশ করার মত না, যতক্ষননা নিজে কেউ যাচ্ছে স্পেশালি ভোর হতে দেখতে পারাটা! এক কথায় অসাধারন! সেকেন্ড ডে সকালের নাস্তা পানি শেষ করে নীলাদ্রী লেকে ঘুরতে চাইলে আরো কিছু সময় ঘুরে দ্যান রওনা হতে হবে টাওঙ্গের হাওড়ের দিকে! এর আগে অবশ্য বাগলিতেও যাওয়া যায়, আমরা এবার যাই নাই গতবার গিয়েছিলাম দেখে, খারাপ না, কিন্তু খুব একটা স্পেশাল কিছুও না, প্রথম বার হলে যাওয়া যেতে পারে, বাগলী হয়ে টাওংগরের হাওড়ে গিয়ে প্রথমেই ওয়াচ টাওয়ারে চলে যাওয়া যেতে পারে, ওয়াচ টাওয়ারে সময় কাটিয়ে তার একটু পাশেই কমপানিতে নেমে গোসল করা যেতে পারে। দ্যান লাঞ্চ ! এখন আপনার যদি ঢাকাতে ব্যাক করার তাড়া থাকে আপনি বিকেলের বাস ধরতে পারেন, আর তাড়া না থাকলে রাতের বাস!! দুপুরের দিকে ব্যাক করলে টাওঙ্গুরের হাওড়ে গোসল আর লাঞ্চের পরেই তাহিরপুর ব্যাক করতে সি এন জি করে বাস স্ট্যান্ডে চলে যেতে হবে আর তাড়া না থাকলে রিল্যাক্স মুডে গোসল খাওয়া দাওয়া হাওড়ে আরো ঘোরাফেরা করে সূয্যস্থ দেখে সুনামগঞ্জে গিয়ে রাতের বাসে ঢাকা ব্যাক করতে পারেন আমাদের এবারের মাঝিটা মোটামুটি বেশ ভালোই ছিলো, স্মার্ট, কর্মঠ, রান্নায় ভালো। তার নৌকা আমার মতে ৭-৯ জনের জন্য ওকে, কিন্তু রিল্যাক্স মুডের ট্যুরের জন্য আমার মতে ম্যাক্সিমাম ৪-৫ জন যেন ঘুমাতে বা শুতে প্রব্লেম না হয়, মাঝির নাম লোকমান, বিশ্বাসি, কর্মঠ আর স্মার্ট আছে। বেশ ভদ্র ও তার ফোন নাম্বারঃ 01736447984 (আমার নাম না বলে ওকে শামিমের রেফারেন্স দিলে সহজে চিনতে পারবে আর সার্ভিস ও ভালো দেবে :3 ) তার দুই দিনের প্যাকেজে উপরে উল্লেখিত জায়গা ছাড়াও, রান্না, বিচানা, বালিশ, ইনক্লুডেড, ধন্যবাদ।
মাথায় ভুতটা হঠাত করেই এসেছে! যখন ছোট ছিলাম ক্যামেরায় ছবি বিয়ের প্রোগ্রাম ছাড়া উঠে নাই তেমন একটা, আর ছোট বেলায় ও যে বাবা মা এর সাথে ঘুরতে যেতাম তেমন ও না কিন্তু তাই বলে ছোট বেলার স্মৃতি বিজড়িত জায়গা গুলোতে নিজের ছবি ছোট বেলার না থাকুক বড় বেলার থাকুক। আজ অল্প কয়েক জায়গাতে গিয়েছি সামনে সময় সুযোগ পেলে বাকি গুলোতেও যাবো….. আস্তে আস্তে করে।
আমবাগান রেলওয়ে কলোনী! আমার জন্ম স্থান আমার তিন ভাইয়ের জন্ম স্থান! আমাদের বেড়ে উঠে এই কলনীতেই। ছোটকালটা এখনো খুব মিস করি! কলোনীতে বেড়ে ওঠার যে কি মজা তা আব্বুর রির্টায়ার্ড লাইফের পরই বুঝলাম! যখন সরকারী বাসা ছেড়ে নিজেদের বাড়িতে উঠলাম তখনই বুঝতে পারলাম কি হারালাম! যেই পরিমান ভাত্রিত্ব বোধ ছিলো তা অকল্পনীয় ছিলো! সব সময় দেখতাম বাসায় ভালো কিছু রান্না হলেই আম্মু আসে পাশের প্রতিবেশিদের বাসায় কিছু কিছু দিতেন! সব সময়! শুধু আম্মু না! আমাদের আশে পাশের প্রতিবেশিরাও দিতো। একজনের বিপদে অন্যজন ছুটে আসতো মুর্হুত্বেই! আমার এখনো মনে আছে আমার আম্মুর একবার অপারেশন হয়েছিলো! তখন রাজনৌতিক অবস্থার কারনে আমার খালা বা ফুফুরা গ্রাম থেকে আসতে পারে নাই কিন্তু আমাদের এক ফোটাও চিন্তা করতে হয় নাই আম্মুর সেবা বা টেক কেয়ার নিয়ে! পাশের বাসার রিক্তা আপু, রত্না আপু ঠিকই কিন্তু সব সময় আম্মুর সাথে ছিলো! আমার এখনো মনে আছে আমাদের কলোনীতে আমার আম্মু এক পাতানো ভাই ছিলো যাকে আমরা মামা ডাকতাম! নিজের মামাদের থেকেও বেশি আপন ছিলো! প্রতিদিন মামা সকালে অফিসে যাওয়ার সময় কিন্তু ঠিকই রাস্তা থেকে আম্মুকে একটা ডাক দিতো আপা অফিসে যাই! এমনটি আমরা এখন আর দেখি না! কেউ রক্তের আত্মীয় না হয়েও ছিলো আত্মার আত্মীয়! আমাদের জীবনে এখন KFC, Pizza Hut, Nandos, A&W এই সব এসে ঈদের আনন্দটায় মাটি করে দিয়েছে! এখনো মনে আছে ঈদের সময় আমরা দল বেধে লিস্ট করে করে সবার বাসায় যেতাম! আর এখন যা হয় KFC, Pizza Hut, Nandos, A&W তে! কিন্তু কলোনীতে সবাই মিলে যখন একজন একজন করে সবার বাসায় যেতাম কি যে ভালো লাগতো! ঈদের দিনতো আম্মুর অবস্থায় খারাপ হয়ে যেতো! ঈদের দিনেই মানুষ হত মিনিমাম ১৫০ – ২০০ + -_- বেচারি আম্মু!! তার স্পেশাল পায়েশ বানাতে বানাতেই টায়ার্ড হয়ে যেত -_- এখনো মনে পরে ২১শে ফেব্রুয়ারী, ১৬ই ডিসেম্বার, ২৬শে মার্চের বিশেষ দিন গুলোর কথা! এখনকার মত তখন এই সব দিন গুলো পালনের জন্য কোন প্রকার ম্যাচিং ড্রেস পরার প্রথা প্রচলন ছিলো কিন্তু! ছিলো না কোন প্রকার ফটোওয়াক বা কোথাও যাওয়ার! যা হত সব কলোনীর মাঝেই হত! খেলা, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, কালচারাল প্রোগ্রাম সবই হত! বিশেষ দিন আসলেই বিশেষদিনই ছিলো!! আর এই দিন গুলোর আগের রাতেই কলোনীর সব বাগানের ফুল গায়েব হয়ে যেত!! আর তা খুজে পাওয়া যেত কলোনীর শহীদ মিনারে! আর স্মৃতি স্মম্ভে!! সকাল হলেই ছুটে যেতাম কলোনির শহীদ মিনারের সামনে রাখা দেওয়ালিকা!! আহা!! কত সুন্দর সুন্দর লিখাই না থাকতো!! বুঝি আর না বুঝি ঠিকই পড়তাম!! কলোনীতে হেটে হেটে দেখতাম বড় ভাইয়ের লাগানো পোস্টার গুলো!! নিজেদের হাতে লিখা পোস্টার গুলো!! গতকাল অনেক অনেক অনেক বছর পর হল আমাদের আমবাগান রেলওয়ে কলোনীর প্রথম গেট টু গেদার! অল্প কিছুদিনের নোটিশেই অনেক বড় ভাই, বোন, খালা, খালু এসেছিলো! কখনো আশা করি নাই আমাদের এই ডাকে এমন করে সবাই সাড়া দেবে! খুব অবাক হয়েছি কয়েকজন ভাইয়া দেশের বাইরে থেকে পর্যন্ত চলে এসেছেন দেখে!! অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে! এতো সব পুরানো মুখ দেখে খুবই ভালো লেগেছে! সবাই যখন অতীত নিয়ে গল্প করছিলেন খুবই আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম! সবাই ভালো থাকবেন! ইন্সাল্লাহ আবার আমরা এমন করে একত্রিত হব।
Zohur Ahmed Chowdhury Stadium, abbreviated as ZAC Stadium and previously known as Bir Shrestha Shahid Ruhul Amin Stadium, is a cricket stadium located in the port city of Chittagong, in south-eastern Bangladesh. It became a Test cricket venue on 27 February 2006 when it hosted a Test match between Sri Lanka and Bangladesh. It hosted two group matches of the 2011 ICC Cricket World Cup. It has a seating capacity of around 20,000. The stadium was initially named after Zahur Ahmed Chowdhury on 17 June 2001 by the Bangladesh Awami League government. It was renamed after Ruhul Amin by the Bangladesh Nationalist Party government in October 2001. It was returned to its original name in 2009 of Zahur Ahmed Chowdhury Stadium after Bangladesh Awami League returned to power.
Currently, it is the main cricket venue of the port city. Previously, the M. A. Aziz Stadium was the main cricket venue of Chittagong; however, it focuses on football now. It is also home to the Chittagong Vikings, the local franchise in the Bangladesh Premier League.
ইথুপিয়া ট্রিপ নিয়ে নানান গল্প ছিলো, কিন্তু বলবো বলবো বলা হয় নাই আর সেই জানুয়ারীর শুরুর দিকের ট্রিপ আর এখন মার্চের মাঝামাঝি চলে এলো! এখন বলেও আর এক্সাইটমেন্ট কাজ করবে না, কিন্তু তার মানে এই না যে ট্রিপের ছবি গুলো আপ্লোড করবো না। যদিও ট্রিপে অডিট নিয়ে এতোই বিজিছিলাম প্লাস করো পরিস্থিতি এন্ড ওখানের রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি মানে সিকিউরিটি চিন্তা করে খুব একটা ছবি তোলা হয় নাই। যদিও ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু ভয়ে তেমন একটা ছবি তুলি নাই, যা তুলেছিলাম অডিটে যাওয়ার পথে গাড়ির ভেতর থেকে, আর ভয়টা আরো স্ট্রং হয়ে গিয়েছিলো যখন আমার গুগল পিক্সেল থ্রি এক্সেল মোবাইলটা পকেটমার হয়! পকেটমারের কাহিনী আমি অনেকদিন লুকিয়ে রেখেছিলাম, আমার বাসায় তো জানাই এই নাই, এমন কি আমার বউকেও জানাই নাই, দেশে ব্যাক করার সপ্তাহ খানেক পরে জানিয়েছিলাম সাথীকে, তবে এখনো অফিসিয়ালী আব্বু আম্মুকে জানাই নাই, তবে এটা ঠিক সাথী জানাইসে কিন্তু আম্মু আব্বু এখনো আমাকে অফিসিয়ালি জিজ্ঞেস করে নাই আমার মোবাইল হারানোর কাহিনী নিয়ে। বলা যায় আমার লাইফের প্রথম পকেটমার হল আর তাও ভিন দেশে আমার অতিপ্রিয় একটা মোবাইলটা! আমার মোবাইল টা পকেট মার হওয়ার পরে সেই দিন রাতে আমি ঠিকমত গুমাতে পারি নাই! লাকিলি পিক্সেলেরর ছবি গুলো অটো সিঙ্ক হয়ে যেতো গুগল ড্রাইভে আর আমি এতে করে আমার মোবাইলের প্রায় ১১০ গিগা ছবি রিকভার করতে পেরেছিলাম, ছবি গুলো রিকভার করার পর মনটা অনেক হালকা হয়েছিলো, আফসোসের মাত্রা অনেক কমে গিয়েছিলো। পিক্সেল ইউজ করার পর থেকে গত দেড় বছর আমি আমার আইফোনে কোন ছবিই তুলতাম না কথাবলা ছাড়া। তবে পকেট মাইরের জন্য যেই চিত্রনাট্য ৪-৫ জনের একটা গ্রুপ করেছিলো এপ্রিসিয়েট করার মত ছিলো। ওটার কাহিনী অন্য একদিন বলবো। তবে ইথুপিয়া ট্রিপের নানান ভালো খারাপ এক্সপেরিয়ান্সের মাঝে আমার কাছে বেস্ট ছিলো ওদের হেয়ার স্টাইল! তারা চুলের ব্যাপার প্রচন্ড সিরিয়াস! সিরিয়াস কিনা জানি না তবে চুলের নানান স্টাইল আমি দেখেছি, যদিও ছবি তোলা তেমন হয় নাই, আমি যেই ফ্যাক্টরী গুলোতে অডিট করেছিলাম ওখানে যদি আমার অডিট বাদ দিয়ে ছবি তুলতাম মারাত্মক সব ইন্টারেস্টিং হেয়ার স্টাইলের পোট্রিয়েট তুলতে পারতাম, কিন্তু রাস্তাঘাটে ক্যামেরা নিয়ে হেটে হেটে ছবি তোলাটা খুবই রিস্কি আর তাই আমি সেই রিস্ক নেই নাই। যা তুলেছি গাড়ি থেকে আসা যাওয়ার পথে আর টুকটাক দাঁড়িয়ে কাইন্ড অফ রিস্ক নিয়ে। ওভার অল ৫০-৫০ ছিলো আমার ট্রিপটা। আর এক্সাইটিং ছিলো কোন আফ্রিকান দেশে আমার প্রথম ট্রিপ।
Hi, Its always tough to write about "myself"! Maybe because i do not know much about myself as much the people around know. but still, as i am bound to give some information about me, i am trying to rediscover myself once more!!
My name is Md Rokibul Islam Shozib, most of the people and web user are connected with me know me as Shozib Rokibul Islam. i was born & broughtup in one of the most beautiful cities in Bangladesh, that is Chattogram. i came to Dhaka in the year 2005 after i completed my BSc Engineering. i came to dhaka for job purpose. i started my carrier as a management auditor in Accordia Global Compliance Group, doing audit and training for various type of International Standard like ISO 9001:2015, ISO 22000, ISO 14000, WRAP, SEDEX, CTPAT, HACCP, SA 8000, Buyer COC
Strongly, my academic background or my job field had nothing to do with Photography, i didn’t know then that this single thing would change my life in such positive way! this thing has taught me to appreciate all the small thing that make up the beautiful world we live in. through my lens i have learnt how to capture special moments and translate then into art. at home or outside, i have learnt to appreciate the beauty of all thing through my lens. i do not emphasize on any particular theme or subject, rather each & everything is this queer world in my subject! every opportunity to shoot, whether it is a wedding, or a protest, a door, life style, landscape photography all these opportunities for me to create art. Each occasion is unique and new hance for me to share with others my passion for modern & photojournalistic style of Photography.
speak through my lens. Photography is my language and colors are my grammar and each of my capture is my words. i am not a expressive person, may be that is why i express through my lens. .